স্বাধীন বাংলাদেশের বিগত সরকার এবং ভারত সরকার সবাই বারবার দাবি করত, বাংলাদেশ এবং ভারত অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম দেশ। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম দেশ হলেও সীমান্তে হত্যা করা হচ্ছে আমাদের সাধারণ নাগরিককে।
বারবার মনে প্রশ্ন উঠে এ কেমন বন্ধু? সীমান্তের ধারের কাছে গেলেও বুলেট বসিয়ে দেয় ভারতের বিএসএফ! শুরুর দিকে ধারণা করা হতো, শুধু গরু চোরাচালানকারীরাই ভারতের গুলিতে মারা যায় কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণ কখনো নিরাপদ নয় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে। ভারত এবং পাকিস্তান চির শত্রু হওয়া সত্ত্বেও তাদের সীমান্তে এত গোলাগুলি হয় কিনা আমাদের সন্দেহ? কিন্তু ভারত আমাদের বন্ধু-প্রতিমদেশ হওয়া সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন সীমান্তে গোলাগুলি হতে থাকে! একটি বন্ধু রাষ্ট্র কখনোই অন্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাথে এমন অশোভন আচরণ করতে পারে না।
কিছুদিন পূর্বে স্বর্ণা দাস নামে একজন ১৪ বছরের কিশোরী কে গুলি করে হত্যা করে ভারত। মেধাবী ছাত্রীর মারা যাওয়ার পরপরই ঠাকুরগাঁও এর বলিয়াডাঙ্গীতে আরো একটি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিল ভারতের বিএসএফরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতালা ইউনিয়নের কান্তি ভিটা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত ৭ম শ্রেণির ছাত্রের মরদেহ ৪৮ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।